১৫ই আগস্ট ভীতসন্ত্রস্ত রাসেল কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। মায়ের মরদেহ দেখার তার আকুতি ছিল, আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দাও। এরপর যা ঘটেছিল তার বর্ণনা আছে ব্যক্তিগত সহকারী এ এফ এম মোহিতুল ইসলামের ভাষ্যে, ‘রাসেল দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরে।’ আমাকে বলল, ‘ভাইয়া, আমাকে মারবে না তো?’ ‘ওর সে কণ্ঠ শুনে আমার চোখ ফেটে পানি এসেছিল।’ এক ঘাতক এসে আমাকে রাইফেলের বাঁট দিয়ে ভীষণ মারল। আমাকে মারতে দেখে রাসেল আমাকে ছেড়ে দিল। ও তখন কান্নাকাটি করছিল যে ‘আমি মায়ের কাছে যাব, আমি মায়ের কাছে যাব।’ এক ঘাতক এসে ওকে বলল, ‘চল তোর মায়ের কাছে দিয়ে আসি।’ বিশ্বাস করতে পারিনি যে ঘাতকরা এত নির্মমভাবে ছোট্ট সে শিশুটাকেও হত্যা করবে। রাসেলকে ভিতরে নিয়ে গেল এবং তারপর ব্রাশফায়ার। ১৯৮৫-তে অ্যান্থ’নি ম্যাসকারেনহাস কর্নেল রশিদকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘ছোট এই শিশুকেও আপনাদের কেন হত্যা করতে হয়েছিল?’ দাম্ভিক উত্তর ছিল, ‘শেখ মুজিবকে সবংশে নির্মূল করার জন্য রাসেলকে হত্যা করা দরকার ছিল।’