বিস্তারিতঃ
শিরোনাম: একাত্তরে বন্দী মুজিব: পাকিস্তানের মৃত্যুযন্ত্রণা লেখক: অধ্যাপক আবু সাইয়িদ প্রকাশক: সূচীপত্র আইএসবিএন: 9847002202022 সংস্করণ: ২০১২ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫৯ দেশ: বাংলাদেশ ভাষা: বাংলা
Essential for understanding history
good product
নির্জন। নিঃসঙ্গ। বিভীষিকা। মৃত্যুকূপ যেন। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বন্দী। বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা, পরিচালনা, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত। সামরিক ট্রাইবুনালে বিচারের সময় ইয়াহিয়া খানের ২৬শে মার্চের ভাষণ শোনানো হলো। তিনি বললেন- এই যদি নঅএভিযোগ, তাহলে আমার কোনো আইনজীবীর প্রয়োজন নেই। তবুও রাষ্ট্রপক্ষ এ কে ব্রোহীকে নিয়োগ দিলো। বঙ্গবন্ধু বললেন, এসবের প্রয়োজন নেই। ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেছেন, ‘মুজিবকে শাস্তি পেতেই হবে’। প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক তার নিয়োজিত মিলিটারি কোর্ট। ক্যামেরা ট্রায়াল। প্রিজাজ্ড রায় লিখিত। এ ক্ষেত্রে বিচার হবে প্রহসন। সেলের সামনে কবর খোঁড়া শেষ। অন্যদিকে বিশ্বজনমতের চতুর্ভুজ চাপ: ‘মুজিবকে মুক্তি দিতে হবে।‘
বাংলাদেশকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ্ব। পাকিস্তান পরাজিত। লণ্ডভণ্ড। ইয়াহিয়া খান বন্দী। ভুট্টো ক্ষমতা দখল করলেন। বঙ্গবন্ধুকে বললেন, ‘লেস দ্যান লুজ্ কনফেডারেশন’, যৌথ বিবৃতি, টাইপ করা কাগজ তার হাতে। চারপাশে উদ্যত সঙ্গীন। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমাকে গুলি করতে পারো, মেরে ফেলতে পারো, কিন্তু আমার কোনো সম্মতি এতে পাবে না! আগে দেশে যাবো । জনগণের কাছে শুনবো!” অনমনীয়।
গ্রেফতারের পূরবেই যিনি বলেছিলেন, ‘ যে মানুষ মৃত্যুর জন্য প্রস্তত, কেউ তাকে মারতে পারে না।‘
বইটিতে মৃত্যু-সেল থেকে জেলার হাবিব কী করে গোপনে তার বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এলেন, ভুট্টোর সঙ্গে সংলাপের গোপন টেপ, খসড়া জবানবন্দীর ছিন্নপত্র ও জাতিক-আন্তর্জাতিক চতুর্ভুজ ষড়যন্ত্র ও প্রভাব সবই ইতিহাসের রহস্য-ঘেরা চমকপ্রদ ঘটনাবলি আলোচিত।